পোশাকই হবে মোবাইল চার্জার




পোশাককে ব্যবহার করা যাবে মোবাইলের চার্জিং হিসেবে। সেই পোশাকটি তৈরি করেছেন হিরাল সাংঘাবি নামের এক ব্যক্তি। তার বয়স ছিল ৩০ বছর। হিরাল হংকং-এ থাকাকালীন তারবিহনী চার্জিং সিস্টেমের এই চিন্তাটি তার মাথা আসে। এ বয়সী হিরাল কিকস্টার্টাার ক্যাম্পেইন নতুন এক ধরনের পোশাক নিয়ে আসছেন, যা তারবিহীন মোবাইল চার্জ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। 

2015 সালে হিরাল সাংঘাতি কিকস্টার্টার ‘বাউব্যাক্স’ নামের একটি জ্যাকেট তৈরি করে যার জন্য ৯২ লক্ষ্য ডলার অনুদান পেয়েছেন। মঙ্গলবার উন্মোচিত তার নতুন এই প্রকল্পের জন্য লাগবে এক লাখ ডলার। তিনি তার আবিষ্কৃত বাউব্যাক্সকে মোবাইল চার্জারে পরিণত করেছেন, যা  ওয়াশিং মেশিন দিয়ে ধোয়াও যাবে। কারণ উক্ত পোশাকের ভেতরে একটি পকেটের মধ্যে একটি তাবিহীন চার্জি প্যাড সেলাই করে রেখে দেয়া হয়েছে। সেই রেখে দেয়া চার্জ প্যাড দিয়ে ব্যবহাকারী তার আইফোনটিও চার্জ করতে পারবেন। পোশাকটির পকেটের মধ্যে বাউব্যাক্স আইফোন কেইসও রয়েছে। তবে নিষেধাঙ্ঘার রয়েছে যে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা এই কেইসটি ব্যবহার করতে পারবেনা। কারণ তা চার্জ করতে তারবিহীন চার্জি ক্যাপাবিলিটি ব্যাংকের ব্যবস্থা রয়েছে যা পাওয়ার সোর্সের প্রয়োজন তার জন্য একটি ব্যাটারি ব্যাংকের রয়েছে যা পোশাকটির ওয়ালেটে বহন করা যাবে। 

হিরাল বলেছেন যে, ব্যাটারি ব্যাংকটি একটি স্মার্টফোন, একটি স্মার্টওয়াচে দুই বার ্ও চারটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনকে চার্জ করতে হবে। এটি পুনরায় চার্জ করতে দুই থেকে চার ঘন্টা সময় নেবে। 

তিনি বলেছেন যে, “আমরা সেখানে নির্মােতাদের সাথে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। আমরা আমাদের ডিভাইসটি  জিপিএস এবং অন্যান্য জিনিসে অনেক এবং অবিরাম ব্যাটারি চালাতে ব্যবহার করছিলাম। 

বাউব্যাক্স েসোয়েট শার্ট, জ্যাকেটে এবং রিস্টলেটসহ মোট ২৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই সিস্টেমটি। এই পোশাকগুলোর মূল্য ১৪০ থেকে ১৭০ ডলারের মধ্যে পাওয়া যাভে। প্রত্যেকটি জ্যাকেটের কলার তারবিহীন ইয়ারবাডস চার্জের জন্য প্লাগ পয়েন্টে হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া জ্যাকেটের স্লিভে অ্যাপল ওয়াচ র্চার্জের ব্যবস্থাও আছে। বাউব্যাক্সের ব্যাটারি ব্যাংক, চার্জিং প্যাড, আেইফোন কেইস, রিস্টলেট এবং ওয়ালেটসহ অন্যান্য অংশগুলোর প্রক্যেতটি আলাদা আলাদা ভাবে বিক্রি করা যাবে। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে ২০১৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে গ্রহাকের হাতে পৌঁছে যাবে। ২০১৫ সালে হিরাল প্রথম কিকস্টার্টার প্রকল্প হিসেবে বাউব্যাক্সটি লোকচক্ষুর সম্মুখে আনে। এটি ট্রাভেল জ্যাকেট হিসেবে তৈরি করেছিরেন। এতে বালিশ, সোডা ক্যান হোল্ডারসহ ১৫টি ফিচার ছিল। বাউব্যাক্স কিকস্টার্ট ারের চর্তর্থ সর্বোচ্চ তহবিল পাওয়া পন্য। তার প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ভোক্তাদের নেতিবাচক প্রতক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছ। জ্যাকেগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহাকরো পেয়ে যাওয়ার কতা থাকলেও বসন্তের আগে পন্য পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ সম্পর্কে হিরাল বলেছেন, “সাপ্লাই চেইনের সমস্যার জন্য চার মাস দেরি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য কস্টকর একটি অভিজ্ঞতা ছিল।” তবে তার দ্বিতীয় পর্ণটি অর্থের জন্য নয়। তিনি বলেছেন এটি বাজার প্রতিস্ঠার জন্য। আমরা জানতে চাই আসলেই এমন ধরনের পণ্য প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা।

No comments:

Post a Comment